শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ১১৮ তম মাহফিলে দেয়া আমার বক্তব্যের খণ্ডাংশ প্রচার করে কতিপয় মিডিয়া বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, বক্তব্যে আমি মূলত বলতে চেয়েছি, ইসলামের মৌলিক বিধান পর্দা প্রথা লঙ্ঘিত হয় এমন প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের পড়াশুনা করানো উচিৎ হবেনা। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এখানে শিক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনাসহ যাবতীয় সকল কিছুই রয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং সকলেই অবগত যে, উম্মুল মু’মিনিন হজরত আয়িশা র. ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে নারীবিদ্বেষী ও নারীশিক্ষা বিদ্বেষী বলে প্রচারণা চালানো অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দাড় করাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া’র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।এ কথা সবাই জানেন যে হাইয়ার অধীনে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সনদ গ্রহণ করে থাকেন। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রধান করেছেন। এতে করে আমাদের দেশের লাখো মাদরাসা ছাত্র ও ছাত্রীরা দাওয়ারে হাদিস পাশ করে মাস্টার্সের সমমান অর্জন করছেন।
যে সম্মিলিত বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়ে হাজার হাজার নারী রাষ্ট্র স্বীকৃত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত বলে পরিগণিত হচ্ছে, সেই বোর্ডের প্রধান হয়ে আমি কিভাবে নারী শিক্ষার বিরোধী হলাম তা বোধগম্য নয়। আমি আবারো বলছি যে, আমি বা আমরা নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, তবে নারীর জন্য নিরাপদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয় আমরা আগেও সতর্ক করেছি, এখনো করছি। আমরা চাই নারীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ পরিবেশে থেকে এবং ইসলামের মৌলিক বিধানকে লঙ্ঘন না করে। শিক্ষা গ্রহণ অবশ্যই জরুরী, তবে সেটা গ্রহণের জন্য আমরা আমাদের কন্যাদের অনিরাপদ পরিবেশে পাঠাতে পারিনা।
হেফাজতের ১৩ দফা দাবীতেও নারীদের জন্য নিরাপদ শিক্ষার কথা উল্লেখ আছে। তাছাড়াও কথাটি আমি মাহফিলে আগত মেহমানদের উদ্দেশ্যে বলেছি। তারা যেন ধর্মীয় বিধান সম্পর্কে অবগত হয়। পরিশেষে আমি অনুরোধ করব, আমার বক্তব্যের খণ্ডাংশ প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।
(বিজ্ঞপ্তি)