রাহবার২৪

আল্লামা শফীর বিরোধিতায় বিশ্ব সুন্নী ও নারী মুক্তিকেন্দ্র : নেপথ্যে নাস্তিক্যবাদ

ব্যানারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো কিন্তু নিজেকে মুসলমান দাবি করে। অথচ তারা এক্ষেত্রে আল্লামা আহমদ শফীর বিরোধিতা করে মূলত নারীদের নিরাপত্তা ও পর্দা প্রথার বিরোধিতা করছে, যে পর্দা প্রথাকে শরীয়ত ফরজ করে দিয়েছে। 

মন্তব্য প্রতিবেদন : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র নামে তিনটি সংগঠন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। দুটি জাতীয় দৈনিক আনকাবুত টাইপের এই সংগঠনগুলোর সংবাদ প্রচারও করেছে।

অথচ নাম শুনলেই বোঝা যায় এগুলো পেইডাপ ব্যানার। কত আর  পায় তারা? পঞ্চাশ কিংবা একশো টাকা। তবে যারা ব্যানার বানিয়েছে, ব্যানারের পেছনে লোকদের জড়ো করেছে তাদের বাজেট হাজার বারোশো তো হবেই।

সমস্যা আসলে ভিন্ন জায়গায়। তারা তো শুধুমাত্র রাস্তায় দাঁড়িয়েছে কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু তাতে নাস্তিক্যবাদি শক্তি নিশ্চয়ই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে। কেননা তারা ইসলামের বিরুদ্ধে এদেশের মাটিতে একদল নির্বোধ কে মাঠে নামাতে সক্ষম হয়েছে। আর এ জন্যই তো তারা এগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। নিজেরা তো আর সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবে না। কেননা, এদেশের মানুষ আর যাই হোক ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কিছুকে বরদাস্ত করবে না।

একটু খেয়াল করে দেখুন! ব্যানারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকগুলো কিন্তু নিজেকে মুসলমান দাবি করে। অথচ তারা এক্ষেত্রে আল্লামা আহমদ শফীর বিরোধিতা করে মূলত নারীদের নিরাপত্তা ও পর্দা প্রথার বিরোধিতা করছে, যে পর্দা প্রথাকে শরীয়ত ফরজ করে দিয়েছে।

আল্লামা আহমদ শফী তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গি ও ভাষায় নারীদের নিরাপত্তা ও পর্দা প্রথার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যদি কারো তার মূল বক্তব্য বুঝে না আসে, তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সে ব্যাখ্যা থেকে অবশ্যই বুঝে আসার কথা, যদি না কারো অন্তরে বক্রতা থাকে। এরপরে একজন মুসলমান কি করে তার বক্তৃতার বিরোধিতা করতে পারে? যে বিরোধিতায় ইসলামের একটি ফরজ বিধানের বিরোধিতা হয়ে যাচ্ছে।

আসলে তারা তা বুঝতে পারছে না। কেননা তারা তো এখানে এসেছে কেবল কয়েকটা পয়সার জন্য। আর নিজের ছবিটা একটু কোথাও প্রকাশ পাবে ব্যাস, এতটুকুই।

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়