রাহবার২৪

চলে গেলেন দেওবন্দের শাইখুল হাদীস মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী

বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দের বরেণ্য শাইখুল হাদীস, সদরুল মুহাদ্দিসীন, বিশ্ববরেণ্য প্রাজ্ঞ আলেমে দ্বীন হযরত আল্লামা মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী কয়েকদিন অসুস্থ থাকার পর আজ ১৯ মে–২০২০ ২৫ রামাজান মঙ্গলবার চাশতের সময় মুম্বাই’র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শাইখুল হাদীস আল্লামা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রহ.) দারুল উলূম দেওবন্দের এমন কৃতিসন্তানদের একজন, যাঁদের নিয়ে স্বয়ং দারুল উলূম দেওবন্দ গর্ব করতে পারে। হাদীস, তাফসীর ও ফিকহের এ কিংবদন্তি মনীষী আনুমানিক ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় শহর পালনপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

হযরত মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী পরপারে চলে গিয়েছেন

(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন)

.
বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র দারুল উলুম দেওবন্দের বরেণ্য শাইখুল হাদীস, সদরুল মুহাদ্দিসীন, বিশ্ববরেণ্য প্রাজ্ঞ আলেমে দ্বীন হযরত আল্লামা মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী কয়েকদিন অসুস্থ থাকার পর আজ ১৯ মে–২০২০ ২৫ রামাজান মঙ্গলবার চাশতের সময় মুম্বাই’র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শাইখুল হাদীস আল্লামা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রহ.) দারুল উলূম দেওবন্দের এমন কৃতিসন্তানদের একজন, যাঁদের নিয়ে স্বয়ং দারুল উলূম দেওবন্দ গর্ব করতে পারে। হাদীস, তাফসীর ও ফিকহের এ কিংবদন্তি মনীষী আনুমানিক ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় শহর পালনপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

হযরতের পিতা জনাব ইউসুফ সাহেব তাঁর নাম রাখেন আহমদ। পরবর্তীকালে মাযাহিরুল উলূম সাহারানপুরে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি নিজেই শুরুতে সাঈদ শব্দ যোগ করেন।

চার ভাই-চার বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ভাইদের সবাই তাঁর তত্ত্বাবধানেই বড় বড় আলেম হিসেবে গড়ে ওঠেন।

গ্রামের মক্তবেই তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। এরপর মামার নিকট এক বছরে ফার্সী শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তারপর পালনপুর মাদরাসায় ভর্তি হয়ে সাত বছর পড়াশুনা করেন। অতঃপর ১৩৭৭ হিজরী সালে বিখ্যাত মাযাহিরুল উলূম সাহারানপুরে ভর্তি হন। অত্যন্ত অভিনিবেশ সহকারে ৪ বছর এখানে ইলমে দ্বীন শিক্ষা করেন।

সর্বশেষ ১৩৮০ হিজরী সালে এ বিশ্বনন্দিত মুহাদ্দিস দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন এবং ১৩৮২ হিজরী সালে প্রথম স্থান অধিকার করে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করেন।

দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করার পর আল্লামা পালনপুরী দারুল উলূমেরই ইফতা বিভাগে ভর্তি হন। দুই বছর মেয়াদী ইফতা কোর্স দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করেন। তদুপরি এ সময় তিনি ৩০ পারা কুরআন মাজীদ হিফজ করেন। পাশাপাশি দারুল উলূমের সহকারী মুফতীর দায়িত্বও পালন করেন।

দাওরায়ে হাদীস ও ইফতা শেষ করার পর বিশ্ববরেণ্য এ মুহাদ্দিস গুজরাটের সূরাট জেলার দারুল উলূম আশরাফিয়া মাদরাসায় দীর্ঘ ৯ বছর অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ইলমে দ্বীনের খিদমত করেন। এ সময় ১৩৯৩ হিজরী সালে দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিসে শূরা তাঁকে দারুল উলূম দেওবন্দে নিয়োগ প্রদান করেন। তখন থেকে নিয়ে ইন্তেকাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ দশক ধরে এ মহামনীষী দারুল উলূম দেওবন্দে ইলমে নববীর খিদমত করেছেন।

এক যুগের কাছাকাছি সময় ধরে তিনি এখানে বুখারী শরীফের পাঠ দান করে আসছেন। এভাবে মুসলিম জাহানের হাজার ছাত্র ও শিষ্য তাঁর কাছ থেকে হাদীস, তাফসীর, ফিকহ সহ ইসলামের নানা বিষয়ক জ্ঞান-বিজ্ঞান আহরণ করেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের সদরুল মুদাররিসীন (হেড মাওলানা)-এর পাশাপাশি শাইখুল হাদীসেরও দায়িত্ব পালন করেন।

আল্লামা পালনপুরী (রহ.) ছিলেন সময়োত্তীর্ণ মুফাসসিরে কুরআন। যুগশ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ। স্বভাবজাত ফকীহ। লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক ও গবেষক। তাঁর প্রতিটি রচনা উচ্চাঙ্গের ও মানোত্তীর্ণ। জটিল ও কঠিন সব বিষয়ে তিনি কলম ধরেছেন। দরসে নেজামীর একাধিক জটিল থেকে জটিলতর কিতাবাদির ব্যাখা ও টীকা লিখেছেন।

আল্লাহ তা’আলা হযরতকে জান্নাতুল ফিরদাউস-এর উচ্চ মকাম ইনায়াত করুন। রাহিমাহুল্লাহ রাহমাতান ওয়াসি‘আহ। আমীন।

 

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়