মসজিদ উন্মুক্ত করে দিতে বলেছেন সিলেটের শীর্ষস্থানীয় ৩১৩ আলেম
মহামারী করোনাভাইরাসের (কোভিড ১৯) কারণে সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদে জনসমাগম রোধে যে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, তা প্রত্যাহার করে মসজিদগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সিলেটের শীর্ষ ৩১৩ আলেম।
আজ ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে মুসল্লিদের সংখ্যা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা ছাড়া নিঃশর্ত মসজিদ উম্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ছড়ানো মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বিশ্বের ছোট বড় কোন দেশই মুক্ত নয়। আমাদের বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই মহামারী থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে অনেক পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রশংসার দাবি রাখে। যেহেতু পুরো বিশ্বব্যাপি এ ব্যাপারে একমত যে, এই মহামারী আল্লাহর সৃষ্ট, তাই আমাদের মুসলমানদের করণীয় হল, আল্লাহর কাছে ক্ষমা, ইস্তেগফার, তওবা ও তাঁর ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে তাঁর কাছে আত্বসমর্পণ করা।
এজন্য ইবাদতের স্থান মসজিদগুলোকে উন্মুক্ত করা দরকার। বস্তুুত ইবাদাতের মধ্যে সর্বোত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত হল নামায, কুরআন তিলাওয়াত, দু‘আ-ইস্তেগফার, তওবা ও জিকির আসগার এবং এই সব ইবাদাতের জন্যই আল্লাহ্ তাঁর ঘর বা্ইতুল্লাহ নির্মাণ করেছিলেন। গোটা পৃথিবীতে সব মসজিদই তাঁর ইবাদাতের উদ্দেশ্যে বানানো হয়েছে। অপরদিকে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে মসজিদ আবাদ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ তবে যারা অসুখ বা মহামারীতে আক্রান্ত বা আতঙ্কিত তাদের জন্য মসজিদে না আসার অনুমতি শরীয়তে রয়েছে।
অতএব, মহামারীর আতঙ্কের মধ্যেও যে সুস্থ ব্যক্তিগণ মসজিদে আসতে চান, তাদেরকে বাধা না দিয়ে আসতে দেয়া উচিত। তবে সেই সাথে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।
তাই সংখ্যার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই মসজিদ সমূহকে উম্মুক্ত করে দিয়ে আল্লাহর রহমত হাসিল করার সুযোগ মুসলমানদেরকে দান করার জন্য সরকারের কাছে সিলেট বিভাগের শীর্ষ উলামা মাশায়েখ ও মুফতিয়ানে কিরাম জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা শীর্ষ আলেমগণের মধ্যে রয়েছেন– শায়খুল হাদিস মুফতি মাওলানা মুহিবুল হক গাছবাড়ি, শায়খুল হাদিস মুফতি মাওলানা রশিদুর রহমান ফারুক বর্ণভী, শায়খুল হাদিস আলিম উদ্দিন দুর্লভপুরি, শায়খুল হাদিস মাওলানা শায়েখ আব্দুশ শহীদ গলমুকাপন, হযরত মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, শায়খুল হাদিস মুফতি মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, শায়খুল হাদিস মুফতি ওলিউর রহমান, শায়খুল হাদিস মুফতি ইউসুফ হরিপুরি, শায়খুল হাদিস মুফতি মাওলানা আব্দুল মালিক মোবারকপুরী, হযরত মাওলানা শায়খুল, হাদিস নাজির হোসাইন প্রথমপাশি, হযরত মাওলানা আব্দুল বাছির সুনামগঞ্জী (নাজিম এদারা), হযরত মাওলানা এডভোকেট আব্দুর রকীব (সভাপতি- নেজামে ইসলাম সিলেট), হযরত মাওলানা হাফিজ মুহাসিন আহমদ শায়েখে কৌড়িয়া, হযরত মাওলানা রেজুল করীম জালালী, হযরত মাওলানা মুহিউল ইসলাম বুরহান (মুহতামিম- রেঙ্গা মাদরাসা), হযরত মাওলানা হাফিজ মজদুদ্দিন আহমদ (মুহতামিম- ভার্থখলা মাদরাসা), হযরত মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী, হযরত মাওলানা আহমদ কবীর বিন আমকুনী (মুহতামিম- সোবহানীঘাট মাদরাসা), হযরত মাওলানা আবু সালেহ কুতুবুল আলম, হযরত মাওলানা খলিলুর রহমান, হযরত মাওলানা মাস্রুলুল হক (সাহেবজাদায়ে হবিগঞ্জী), হযরত মাওলানা আব্দুল মালিক (চলিতাতলি হবিগঞ্জ), হযরত মাওলানা মুফতি শফিকুর রহমান, হযরত মাওলানা মুফতি নুরুল হুদা, হযরত মাওলানা সামিউর রহমান মুসা (মুহতামিম- কাজিরবাজার মাদ্রাসা), হযরত মাওলানা হেলাল আহমেদ হরিপুরি, হযরত মাওলানা মুফতি বিলাল উদ্দিন, হযরত মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, হযরত মাওলানা মুজিবুর রহমান, হযরত মাওলানা সৈয়দ শামিম আহমদ, মুফতী শফিকুল আহাদ দিরাই, হযরত মাওলানা হাফিজ সৈয়দ ড. রিজয়ান আহমেদ, হযরত মাওলানা ফখরুল ইসলাম সৈয়দপুর, হযরত মাওলানা এমদাদুল্লাহ কাতিয়া, হযরত মাওলানা তৈবুর রহমান চৌধুরী, হযরত মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলী (চেয়ারম্যান ৫নং বড় চতুলি ইউনিয়ন), হযরত মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মুফতি সালমান বিন মুছা হবিগঞ্জ, হযরত মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, হযরত মাওলানা আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, হযরত মাওলানা মুখলিছুর রহমান রাজাগঞ্জি, হযরত মাওলানা আব্দুল মালিক চিকনাগুনী, হযরত মাওলানা আব্দুল হালীম গোলাপগঞ্জ, হযরত মাওলানা লুতফুর রহমান বাটুলগঞ্জি, হযরত মাওলানা সৈয়দ মুতাহির আলী, হযরত মাওলানা তাহ্রুল হক জকিগঞ্জি, হযরত মাওলানা মুশাহিদ দয়ামিরী, হযরত মাওলানা ইবরাহীম সালুঠিকরী, হযরত মাওলানা আব্দুল মুছাব্বির জকিগঞ্জ, হযরত মাওলানা মুহিবুর রহমান মিথিপুরী, হযরত মাওলানা নাসির উদ্দিন, হযরত মাওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম, হযরত মাওলানা মুফতি মতিউর রহমান, হযরত মাওলানা মুফতি রশীদ আহমদ জামালগঞ্জ, হযরত মাওলানা হাফিজ আহমদ সগীর বিন আমকুনী (নায়েবে মুহতামিম- সোবহানীঘাট মাদরাসা) প্রমুখ।