টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমঝোতা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো সময় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, “আজকের সভার পর ইজতেমা একটাই হবে। কোনো বিভক্তি হবেনা। তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের সাথে বৈঠকে এটা সিদ্ধান্ত হয়েছে”।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও জানিয়েছেন যে, যাকে নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়েছিলো ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী এবারের ইজতেমায় আসছেন না।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহর সাথে বৈঠকে ইজতেমার সময়সূচী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বৈঠকে মাওলানা সাদ আহমাদ কান্ধলভীর অনুসারী ও উলামাদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের ১৬ থেকে ১৭ জন করে সদস্য বৈঠকে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রধান বেনজির আহমেদ, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার ইজতেমার আয়োজন নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে হয়।
তবে ওই বৈঠকে সাদপন্থী অনুসারীরা অংশ নিলেও সাদ বিরোধী অংশের মুরব্বিরা যোগ দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের বিশ্ব ইজতেমার পর তাবলিগ জামাতের দুইপক্ষ আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করে।
নিজামুদ্দীন মার্কাজপন্থী মাওলানা সাদের অনূসারীরা ১১, ১২, ও ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেছিল।
গত ইজতেমা থেকে জানুয়ারির ১৮, ১৯ ও ২০ ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে উলামায়ে কেরাম।
এদিকে আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, এখন থেকে তাবলীগের কাজ ওলামায়ে কেরাম এবং বাংলাদেশের তাবলীগের জিম্মাদারদের পরামর্শ মোতাবেক-ই পরিচালিত হবে। সা’দ সাব কেন্দ্রিক যে বিতর্ক চলছিল, সে বিতর্ক এড়িয়ে চলবেন সবাই।