রাহবার২৪

ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বাংলাদেশে

রাহবার২৪

রাহবার: ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেল। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের পণ্যবাহী রফতানির ট্রাক না নিলে তাঁরাও ভারত থেকে যাওয়া আমদানি পণ্যের ট্রাক ঢুকতে দেবে না।

বুধবার (০১জুন) সকালে কিছু পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে যাওয়ার পরেই জটিলতার সৃষ্টি হয়। সেদেশের বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের পণ্যবাহী ট্রাক না নিলে তাঁরাও ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক গ্রহণ করবে না। এ নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে দিনভর ভারত থেকে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।

করোনা পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে প্রায় তিন মাস ধরে বাণিজ্য বন্ধ থাকার পরে সম্প্রতি গত ৭ জুন ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি চালু হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে আমদানি চালু হয়নি। ওই ঘটনায় সেদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রফতানি করতে চান। কিন্তু প্রশাসনিক সবুজ সঙ্কেত না মেলায় তা সম্ভব হচ্ছে না।

এ নিয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘করোনা পরিস্থিতিতে গত ৭ জুন থেকে ভারত থেকে বাংলাদেশে রফতানি বাণিজ্য চালু হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। বর্তমানে আমাদের দেশ থেকে যেটা বাংলাদেশে রফতানি হচ্ছিল বাংলাদেশ তা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সিঅ্যান্ডএফ কর্তৃপক্ষ আমাদের পণ্য নিচ্ছে না। তাঁদের একটাই দাবি, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ভারতের পণ্য নিচ্ছেন। কিন্তু তাঁদেরও ছয় থেকে সাতশ’ গাড়ি ভারতের উদ্দেশে রফতানির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো নিতে হবে।’

কার্ত্তিক বাবু বলেন, ‘বাংলাদেশের দাবির কথা আমরা মহকুমা ও জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। করোনার জন্য বাংলাদেশ কী কী প্রোটোকল মেনে চলছে তার নির্দেশিকা ওঁরা আমাদেরকে দিয়েছে। বাংলাদেশের রফতানি পণ্যবাহী ট্রাক না নিলে বা পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকতে না দিলে তাঁরাও আমাদের রফতানির পণ্যবাহী ট্রাক নেবে না বলে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।’

বিষয়টি সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে বলেও কার্ত্তিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন।

এদিকে পেট্রাপোল সিডব্লিউসি ম্যানেজার প্রমোদ যাদব বলেন, গত ৭ জুন থেকে এক্সপোর্ট চালু হয়েছে। বাংলাদেশ চাচ্ছে ইমপোর্টও চালু হোক। অর্থাৎ বাংলাদেশের যা এক্সপোর্ট আমাদের সেটা ইমপোর্ট। এক্সপোর্ট বন্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউস কর্পোরেশনের (সিডাব্লিউসি) ম্যানেজার প্রমোদ যাদব মন্তব্য করেন।#

-পার্সটুডে

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়