বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মসজিদসমূহের জন্য করণীয়
——————————————————
মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
——————————————————
.
শবে বারাআত নিকটবর্তী। দেশের মানুষের যে মানসিক অবস্থা, তাতে বলা যায়, শবে বারাআতে মসজিদসমূহে মুসল্লীর ঢল নামবে। তাতে লকডাউন চরমভাবে উপেক্ষিত হবে। যার ফলাফল সর্বজন বিদিত।
করোনা ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য হলো–প্রাথমিক দিনগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু পরবর্তীতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেই কথা চিন্তা করে দেশের বর্তমান সময়টা নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল উদ্বিগ্নতায় রয়েছেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের বৈঠকে বর্তমান অবস্থায় মসজিদে নামাযের ব্যাপারে দু’টি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন–
(১) মসজিদ বন্ধ করা যাবে না।
(২) সীমিত মুসল্লী দিয়ে মসজিদসমূহে নামাযের ব্যবস্থা করতে হবে।
সেই আলোকে ধর্মমন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এ মুহূর্তে ঘোষণা দিতে পারে যে, দেশের লকডাউন পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রতিটি মসজিদে ইমাম, মুআজ্জিন, খাদেম প্রমুখ মিলে সর্বমোট ৪/৫জন হয়ে নামাযের জামা‘আতের ব্যবস্থা করুন এবং তারা নামাযের জামা‘আতের আয়োজনের জন্য লকডাউন আইন মেনে মসজিদেই অবস্থান করুন। তারা মসজিদ থেকে বের হবেন না এবং বাহিরের কেউ মসজিদে প্রবেশ করতে পারবেন না। অন্যরা সবাই যার যার বাসায় অবস্থান করে সেখানে সময়মতো নামায আদায় করবেন। এভাবে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সকল ওয়াক্তী নামায এবং জুুমু‘আর নামায ও শবে বারাআতের জন্য এ নিয়মই বলবৎ থাকবে।
এরূপ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে, দেশের চলমান লকডাউন অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে আশা করি। সুতরাং এ ধরনের ঘোষণা অবিলম্বে প্রদান করার জন্য ধর্মমন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।