রাহবার২৪

সাধারণ ছুটি বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত || বেঁধে দেওয়া হলো ১৫ শর্ত

সরকার করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ -এর বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় ৩০ মে পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ মে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে উক্ত ছুটির সাথে ১৫টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শারীরিক দূরত্ব রেখে ঈদের নামায আদায় করতে হবে এবং তা মসজিদে পড়তে হবে।

সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়লো : যুক্ত করা হলো ১৫ শর্ত

 

সরকার করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ -এর বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সাধারণ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হওয়ায় ৩০ মে পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৪ মে বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে উক্ত ছুটির সাথে ১৫টি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শারীরিক দূরত্ব রেখে ঈদের নামায আদায় করতে হবে এবং তা মসজিদে পড়তে হবে। আগামী ২১ থেকে ২৭ মে চলবে না কোনো যানবাহন। তবে নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে জরুরি সেবা। এ ছাড়া ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে সাত দফায় ছুটি বাড়ল। নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। তৃতীয় দফায় ছুটি বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আরেক দফায় ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। এরপর এ ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন আবার নতুন সিদ্ধান্তে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর সাথে বাড়ানো হয়েছে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা। বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৫টি শর্ত। উক্ত শর্তসমূহ হলো–

১. আগামী ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত (দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলে ৩০ মে পর্যন্ত) সাধারণ ছুটি থাকাকালীন জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে বা তা সীমিত থাকবে। ২১ মে (শবে কদরের সরকারি ছুটি), ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ এবং ২৬ মে (ঈদুল ফিতরের সাধারণ সরকারি ছুটি) এ ছুটির নিষেধাজ্ঞার আন্তর্ভুক্ত থাকবে।

২. সাধারণ ছুটি এবং চলাচল নিষেধাজ্ঞাকালে এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলা প্রশাসন আইন শৃঙ্খবাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন (প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা নেওয়া, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করা ইত্যাদি) ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।

৩. সাধারণ ছুটি এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকাকালে জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

৪. রামাজান ও ঈদকে সামনে রেখে দোকানপাটে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। শপিংমলের প্রবেশদ্বারে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এসব শুপিংমল দোকান পাট বিকাল ৪টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

৫. সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিসেবা, যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এ ছুটির বাইরে থাকবেন।

৬. সড়ক ও নৌপথে সব প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো, ভেসেল, ইত্যাদি) চলাচল অব্যাহত থাকবে।

৭. কৃষিপণ্য, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

৮. চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেক্টনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত) কর্মীগণ এই সাধারণ ছুটি/ চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবেন।

৯. ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সব ধরনের কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত স্বাস্থ্যসেবা পরিপালনের নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।

১০. পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।

১১. সাধারণ ছুটি বা নিষেধাজ্ঞা কালীন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না।

১২. রামাজান, ঈদ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

১৩. সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসসমূহ প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে। সেই সঙ্গে তারা তাদের অধিক্ষেত্রের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। মন্ত্রণালয়/ বিভাগ এবং আওতাধীন অফিসসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জারিকৃত ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে মানতে হবে।

১৪. সাধারণ ছুটি/নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। এই সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং আভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। মহাসড়কে মালবাহী/জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যাতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১৫. আসন্ন ঈদের নামাযের ক্ষেত্রেও বর্তমান বিদ্যমান বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জমায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়