রাজধানীসহ দেশের আটটি জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার সকাল থেকে সংস্থাটি একযোগে চালায় এ অভিযান।
দুদক জানিয়েছে, এ সময় হাসপাতালগুলোতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসকই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। উপজেলা পর্যায়ে অনুপস্থিতির হার আরও বেশি, প্রায় ৬২ শতাংশ।
যেসব হাসপাতালে অভিযান চালানো হয় সেগুলো হল- ঢাকার কর্মচারী কল্যাণ হাসপাতাল, মা ও শিশু সদন ও মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার, রংপুরের পীরগাছা, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, কুষ্টিয়ার কুমারখালি ও পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতাল ও দিনাজপুর সদর হাসপাতাল।
“ঢাকার দুইটি হাসপাতালে রোস্টার ডিউটি অনুসারে ১১০ জন চিকিৎসক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ৯৯ জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছিলেন। বাকি ১১ জন ছিলেন অনুপস্থিত।
“আর ঢাকার বাইরের সাত জেলার হাসপাতালে রোস্টার ডিউটি অনুযায়ি ১৩১ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৫০ জন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন, ৮১ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত ছিলেন।”
এছাড়া মুগদা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মো. আবু মুছা মিঞা নামের এক কর্মচারীকে রোগীর স্বজনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের সুপারিশে বরখাস্ত করা হয়।
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভোগান্তির বিষয়ে হটলাইনে অভিযোগ পেয়ে এসব অভিযান চালানো হয় বলে জানান দুদকের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য সেক্টরে এ অবক্ষয় অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবসেবার চেতনা না থাকলে চিকিৎসা সেবা পরিত্যাগ করা উচিৎ। তবে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে দুদক কঠোর অবস্থান নেবে। সারা দেশের স্বাস্থ্য সেক্টর দুদকের নজরদারিতে থাকবে।”