তাবলিগে চলমান সংকট নিরসনে ও বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আজকের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি উলামায়ে কেরামের কোন প্রতিনিধি। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং সা’দপন্থী তাবলিগের দায়িত্বশীলরা।
তবে বৈঠক থেকে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মহাসচিব ও তাবলীগ ইস্যুতে ওলামাদের অন্যতম প্রতিনিধি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘সাড়ে ৩টায় বৈঠক আর আমাদের জানানো হয় ঠিক জোহরের আগ মুহূর্তে আমরা কীভাবে অংশগ্রহণ করবো?’
তিনি আরও বলেন, ‘এতদিন আমাদের বলা হয়েছে, দেওবন্দ যাওয়ার আগে ইজতেমা বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। এখন আবার বলা হচ্ছে, ইজতেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। হঠাৎ কেন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলো তাও আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা চাই, দেওবন্দ থেকে ফেরার পর ইজতেমা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।’
বৈঠক শেষে কোনোভাবেই একসঙ্গে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমা করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
সাদপন্থী নেতা আশরাফ আলী বলেন, আমাদের তারিখ মতো আমরা আমাদের ইজতেমা করব, তারা তাদের তারিখ মতো করল। সেটা ১৫ দিন পর হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি । সরকার বারবার একসঙ্গে বসার জন্য বলছে। দুই মাস আগে যেখানে দু’জন মানুষ মারা গেল প্রায় দুইশত আহত হলো সেখানে এতো মানুষের একসঙ্গে জমায়েত করাটা বাস্তবসম্মত কিনা সেটা বুঝতে হবে।
তবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে, একসঙ্গে যাতে বিশ্ব ইজতেমা করা যায়।