রাহবার২৪

অফিসের জন্য জরুরী নির্দেশনা : ১২ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংশোধিত ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীনস্থ দফতর ও প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ৩০ মে (শনিবার) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসন-১ এর শাখার উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

.

অফিস-আদালতের জন্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ১২ নির্দেশনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংশোধিত ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীনস্থ দফতর ও প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

৩০ মে শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রশাসন-১ এর শাখার উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২৪ মে বৃহস্পতিবার এক প্রজ্ঞাপনে ৩১ মে থেকে অফিস খোলা ও গণপরিবহন চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে বলা হয়েছে, উক্ত নিষেধাজ্ঞাকালে সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে। সে হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে অফিসের ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো এবং এর পূর্বে গণপরিপরিবহনের জন্য পালনীয় ১৩টি নির্দেশনা জারি করা হয়।

অফিস-আদালতের জন্য যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো–

১. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

২. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।

৩. অফিস পরিবহনে অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং

সকলকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।

৪. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে, কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

৫. যাত্রার আগে এবং যাত্রাপথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৬. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।

৭. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৮. অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৯. কর্মস্থলে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

১০. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা

তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

১১. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

১২. কোন কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

.

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়