যমযম ডেস্ক : বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এরপর এখনও ২ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ চরম দরিদ্র। গত বছর এমন একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এইতো কয়েকদিন আগে বলেছিলেন যে, দেশে এখনও দুই কোটি মানুষ দরিদ্র। দেশ দারিদ্রমুক্ত হতে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর সময় লাগবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, ‘দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হার ২০০৫ সালের ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে নেমে ২৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে এসেছে। হতদরিদ্রের হার নেমেছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে। তারপরও বাংলাদেশে ৪ কোটি মানুষ দরিদ্র। ২ কোটি লোক অভুক্ত থাকে।
গত বছর জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ এখনও দরিদ্র। যা মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের ‘বাংলাদেশে কৃষি-ভূমি-জলা সংস্কারের রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তিন বছর আগের প্রতিবেদন এটি। তবে এ প্রতিবেদনে দরিদ্র, চরম দরিদ্র সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ পরিসংখ্যান বলছে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি মানুষ চরম দরিদ্র। যারা অভুক্ত থাকে। এবং জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়েই হাত পাতে। এই দরিদ্র মানুষগুলো ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে আছে। এখন কোন জেলাকে যদি ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা হয়, তাহলে সেই জেলার ভিক্ষুকরা কোথায় গেল! তাদেরকে কি রোহিঙ্গাদের মতো বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে, না অন্য জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা কি দারিদ্রতার সঙ্গে উপহাস নয়?
ভিক্ষাবৃত্তি ভালো নয়। আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভিক্ষাবৃত্তি করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আবার ধর্নাঢ্যদের কে বলেছেন তোমরা গরীবদেরকে সাধ্যমত সহযোগিতা করো। তিনি বলেছেন, ধনীদের সম্পদে গরিবের হক আছে। এজন্য সম্পদশালীদের উপর যাকাত ও সাদাকাহ ওয়াজিব করে দিয়েছেন। এখন আমরা যদি গরিবদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করি, তাহলে গরিবদের হবে টা কি? গরীবদেরকে ধনী মনে করে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া হবে তাহলে?
প্রচ্ছদের পিকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই এ ধরনের অনেক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে নানা সচেতন মানুষ। তারা বলছে, আসলে আমরা উন্নয়ন চাই। তবে উন্নয়নের নামে বাস্তবতাকে অস্বীকার করা উচিত নয়।