রাহবার২৪
তীব্রতর হচ্ছে সোমেশ্বরী নদীভাঙ্গন দেখার কেউ নেই (1)

তীব্রতর হচ্ছে সোমেশ্বরী নদীভাঙ্গন দেখার কেউ নেই

তীব্রতর হচ্ছে সোমেশ্বরী নদীভাঙ্গন, প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেই, নদীগর্ভে ঘর বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষ, দেখার কেউ নেই।

তীব্রতর হচ্ছে সোমেশ্বরী নদীভাঙ্গন, প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেই, নদীগর্ভে ঘর বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষ, দেখার কেউ নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোমেশ্বরী নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলন, টানা বৃষ্টি আর ভারত থেকে নেমে আসা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে তীব্র হচ্ছে ভাঙ্গন। বিভিন্ন স্থানে নদী কেড়ে নিচ্ছে মানুষের আশ্রয়স্থল। নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা সব হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষ। ভয়াবহ নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে, রাস্তা-ঘাট, গাছপালা, মসজিদ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হারিয়ে যাচ্ছে বাপ-দাদার ভিটে-মাটি এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত।

নদী ভাঙন কবলিত নিঃস্ব মানুষের বুক ফাটা আহাজারি শোনার কেউ নেই। তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে এমন আশ্বাসের বাণী প্রতিবারই শোনায়। আর জনপ্রতিনিধিরা দেখতে যায় উপভোগ ও ফটোশেসন করার জন্য। বছরের পর বছর যায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন কার্যকর উদ্যোগ আর দেখা যায় না। আর যেসব স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হয় সেগুলো দুর্নীতির কারণে নিম্নমানের হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে তা ভেঙ্গে যায়।

দূর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ, কুল্লাগড়ার বিভিন্ন স্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে ক্রমেই মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়া সোমেশ্বরী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি হাট-বাজার বিভিন্ন স্থাপনা। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় লোকজন জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান, দুর্গাপুর প্রতিনিধি

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়