রাহবার২৪

মায়ের পর মেয়েকেও ধর্ষণ করতে চেয়েছিল তারা : জিজ্ঞাসাবাদে মূলহোতা সোহেল

দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা একযোগে ঘরে ঢুকে পড়ে এবং স্বামী ও ছেলেমেয়েকে বেঁধে ফেলে

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে (৩৫) ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি সোহেল ও মূলহোতা রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোহেলকে কুমিল্লা থেকে এবং মূলহোতা রুহুল আমিন মেম্বারকে সুধারাম থানা এলাকার একটি মৎস্য খামার, বেছু ওরফে ইব্রাহিম খলিলকে সেনবাগের একটি ইট ভাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ।

আটকের পর বুধবার রাত ৮টায় ডিবি অফিসের নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সোহেল ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে নারকীয় কাহিনীর বর্ণনা দেন।

সোহেল জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে ওই গৃহবধূ ভোট দিতে আসলে তার সাথে ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা হয়। তারপর রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ভুলু মিয়া নেতার নির্দেশে সে, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী মিয়া, বেছু, বাছু প্রকাশ কুড়াল্যা বাশু, আবুল, মোশারফ, সালাহ উদ্দিন এবং আরো ২-৩ জন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যায় এবং তার স্বামীকে ঘরের দরজা খুলতে বলে।

সোহেল আরো জানায়, দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা একযোগে ঘরে ঢুকে পড়ে এবং স্বামী ও ছেলেমেয়েকে বেঁধে ফেলে। এরপর গৃহবধূকে বাইরে বের করে এনে ধর্ষণ করে।
সোহেল জানায়, ওই গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা তার মেয়েকে ধর্ষণ করতে চায়। এ সময় মেয়ে পালিয়ে গেলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওই গৃহবধূকে মারধর করে এবং তার ঘর ভাঙচুর করে।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ফারুক আহম্মেদ বুধবার দুপুরে নোয়াখালী আসেন। তিনি পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওই গৃহবধূ বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ জানান, ইতোমধ্যে পাচঁ আসামি রুহুল আমিন মেম্বার, সোহেল, স্বপন, বেছু, বাশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা ডিবি অফিসে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে জানান।

উল্লেখ্য, রোববার রাতভর ধর্ষণের পর সোমবার ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ ঘটনা শুনে গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ওইদিন পুলিশ সুপারের নির্দেশে সন্ধ্যা ৭টায় থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জেনারেল হাসপাতালে এসে গৃহবধূর স্বামীকে চরজব্বর থানায় নিয়ে যান। থানার অপারেটরকে দিয়ে টাইপ করা এজহারে ঘটনার মূল নায়ক রুহুল আমিন মেম্বার ও ভুলু নেতাকে বাদ দিয়ে রাত ৯টায় থানায় মামলা রেকর্ড করেন। পরে সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হলে পুলিশ রুহুল আমিন ও ভুলুকে আটকের ব্যাপারে তৎপর হয়।

(সুত্র : যমুনা নিউজ)

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়