রাহবার২৪

সহশিক্ষা নয়, পৃথক শিক্ষাব্যবস্থাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ : মাওলানা মামুনুল হক

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের জামিয়া হুসাইনিয়া দারুল উলূম মাঝিয়াইলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় প্ৰধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়েদের শিক্ষাকেন্দ্র ও কর্মক্ষেত্র নিরাপদ ও নারী-উপযোগী করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিশের সভাপতি ও জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া ঢাকার শাইখুল হাদীস মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ কন্যাকে সহশিক্ষাব্যবস্থায় পড়াননি। নিজ কন্যাকে গার্লস স্কুলে পড়ানোকেই নিরাপদ মনে করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুল ও ইডেন মহিলা কলেজে পড়িয়েছেন। ঢাকা কলেজে পড়াননি। এ থেকে বোঝা যায়, নারীদের পৃথক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শ বাস্তবায়ন করুন। আমরা নারী শিক্ষার বিরোধী নই, বরং আমরা নারীদের আরও বেশি শিক্ষাদানে উৎসাহী। তবে শিক্ষাকেন্দ্রে তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে ৷ ইজ্জত ও জীবনের নিরাপত্তা না পাওয়া গেলে সেখানে নিজ মেয়েদের পড়ানোর মত আগ্রহ কারোরই থাকবে না।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের জামিয়া হুসাইনিয়া দারুল উলূম মাঝিয়াইলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায় প্ৰধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সারা দেশের চালু সব শিক্ষাকেন্দ্রের অর্ধেক শুধু ছেলেদের জন্য আর বাকি অর্ধেক শুধু মেয়েদের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সারাদেশে অর্ধেক হতে হবে বয়েজ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি আর বাকি অর্ধেক গার্লস স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি। গার্লস স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটিগুলোর সকল শিক্ষক ও স্টাফ হতে হবে শুধুই নারী।

এ দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে তিনি বলেন, নারী প্রধানমন্ত্রী ২৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মত একটি দেশ চালাতে পারলে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি চালাতে পারবে না কেন? নারী স্পিকার, নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নারী শিক্ষামন্ত্রী হয়ে বিশাল মন্ত্রণালয় চালাতে পারলে শিক্ষাকেন্দ্র ও কলকারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানও চালাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের উম্মুল কোরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক পৃথক ছেলে ও মেয়ে শাখা বিদ্যমান। মেয়ে শাখায় কখনওই কোন পুরুষ প্রবেশ করতে পারে না। উম্মুল কোরাকে মডেল ধরে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পৃথক দুই শাখায় রূপান্তরিত করুন! এমনটি করা হলে নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে। ধর্ষণ, নিপীড়ন, যৌন হয়রানি ও ইভটিজিং কমে যাবে। সরকার নারীদের প্রতি সত্যিকারার্থেই যদি দরদী হয়ে থাকে তাহলে এই দাবি বাস্তবায়ন করে দেখাক। অন্যথায় প্রমাণিত হবে যে, সরকার নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তরিক নয়।

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়