রাহবার২৪

মামুনুল হক হাটহাজারী গিয়েও মাহফিলে যে জন্য যোগ দেননি – মাওলানা এহসানুল হক

আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, এভাবে মাহফিল বন্ধ করে মামুনুল হকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না।

রাহবার নিউজঃ ভাষ্কর্য/মূর্তি বিরোধী আন্দোলন ও ধর্মীয় সভা বন্ধ করাকে কেন্দ্র করে মাওলানা মামুনুল হক এখন দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। প্রশাসন, সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠন সমূহ ও এক শ্রেণীর মিডিয়া উঠে পড়ে লেগেছে মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। তারা যে কোনো মূল্যে মাওলানা মামুনুল হকের বলিষ্ঠ কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু তিনি তো দমবার পাত্র নন।

মামুন সাহেবের মাহফিল বেশ কিছুদিন যাবৎ বাতিল হচ্ছে। এরপরও অঘোষিতভাবে তিনি কিছু মাহফিলে অংশ নিয়েছিলেন। অনেক কারণেই আজকের আল আমিন সংস্থার মাহফিলটা গুরুত্বপূর্ণ। আজকে প্রশাসন বাধা দিবে এটা জানা কথা। সন্ধ্যার পর থেকেই প্রশাসন থেকে বিভিন্ন রকম ফোন আসতে থাকলো। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সমাবেশের ভাষনগুলো দেখলেন।

আমি জিজ্ঞেস করলাম এই রিস্কের মধ্যে যাবেন? তিনি বলেন, অবশ্যই যাবো। তিনি পরিস্থিতি আচঁ করতে পেরে সিদ্ধান্ত নিলেন রাতেই রওনা হয়ে যাবেন। তিনি তখন নানাজান শাইখুল হাদীস রহ. এর কথা স্মরণ করে বলছিলেন, আব্বা নিয়ে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কত পরেছি। এমন উৎকন্ঠায় কত সময় পার করেছি। এক পথে বাধা এসেছে আরেক পথে গিয়ে কর্মসূচী বাস্তবায়নক করেছি। আমার বিরুদ্ধে এত জলদি এসব শুরু হয়ে গেলো!

তখনও বিভিন্ন মহল থেকে ফোন ও মেসেজ অব্যাহতভাবে আসছেই। তবুও তিনি অটল। হাটহাজারীর পথে রওনা হবেন। এশার নামাজ পড়লাম। হালকা খাবার খেয়ে তিনি যখন গাড়িতে উঠবেন, আমাদের কেউ বললেন, সফর তো দুই দিনের? তিনি বললেন, না, সফর রাতেও শেষ হয়ে যেতে পারে।আবার দুইদিনও লাগতে পারে। আর যদি আল্লাহ কবুল করে ফেলেন তাহলে তো হলোই। এই কথা বলে আল্লাহর নাম নিয়ে যাত্রা করলেন হাটহাজারীর পথে।

ভোরে তিনি চট্টগ্রাম পৌছান। ততোক্ষনে আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে চলে আসার বার্তা আসতে থাকলো। সর্বশেষ আমাদের নিজেদের মহল ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকেও পরামর্শ আসলো মাহফিলে যোগ না দিলেই ভালো হয়। একটা মাহফিলের জন্য এভাবে সংঘাতে জড়ানো ঠিক হবে না। বিশৃংখলা সৃষ্টির আশংকা আছে। মুরুব্বিদের পক্ষ থেকে এই কথা সামনে আসার পর আর কিছু করার ছিলো না। তিনি মাহফিলে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং ঢাকার পথে রওনা হন।

এদিকে ঢাকায় বাইতুল মুকাররমে জুমার পর তাউহিদি জনতা স্বতস্ফুর্তভাবে রাজপথে নেমে আসলো। মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ যুবলীগের কটূক্তি ও মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হলো। সেখানে পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করলো। অসংখ্য ছাত্রকে গ্রেফতার করলো। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো।

এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশ। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, এভাবে মাহফিল বন্ধ করে মামুনুল হকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করা যাবে না। মামুনুল হকের উপর যদি কোন আঘাত আসে তাহলে জবাব দিবো তাওহিদি জনতা। সরকারের কাছে আমাদের আহবান থাকবে, অবিলম্বে ‍মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও ছাত্রলীগ যুবলীগকে থামান। শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় কর্মসূচী পালন করতে দিন। এভাবে আঘাত আসতে থাকলে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পরা আন্দোলনের দাবানল সামাল দিতে পারবেন না।

মাওলানা এহসানুল হক, শিক্ষকঃ জামিয়া রাহমানিয়া

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়