রাহবার২৪

ছাড়পত্র পেল না হলি আর্টিজান নিয়ে নির্মিত বিতর্কিত সেই ছবি

ধারণা করা যায়- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কিত হবার কারণেই ছবিটিকে ব্যান করা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোন ইস্যু তৈরি না হয়। 

রিভিউয়ের শেষ মুহূর্তে এসে বিতর্কিত ‘শনিবার বিকেল’ ছবিটির ছাড়পত্র আটকে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে সেন্সর বোর্ডের পুরনো সিদ্ধান্ত। আজ (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।

এ ব্যাপারে এক বোর্ড সদস্যকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সরাসরি জানালেন, ‘ছবিটি ব্যান করা হয়েছে!’

কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, ছবিটি নির্মিত হয়েছে ২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজানে ঘটা নির্মম সন্ত্রাসী হামলার ছায়া ধরে! বিষয়টি পরিচালক সরাসরি স্বীকার না করলেও, দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে এমনটাই প্রকাশ পেয়ে আসছে গত এক বছর ধরে।

তবে শুধু এই কারণে, নাকি আরও কিছু কারণ রয়েছে- সে বিষয়ে স্পষ্ট হওয়া যায়নি এখনও। ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করতে গিয়েও শেষ মুহূর্তে ঠিক কী কারণে আটকে গেল ছবিটি, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলছেন না বোর্ড সদস্যরা।
বিষয়টি নিয়ে সেন্সর বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘ছবিটি শেষ মুহূর্তে ব্যান করা হয়েছে। আমি এখন আরও একটি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী দেখছি। পরে কথা বলতে পারব।’

সেন্সর বোর্ডের আরেক জ্যেষ্ঠ সদস্য মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘ছবিটির বিষয়বস্তুর সঙ্গে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্ত। তাই বাড়তি সতর্কতার জন্য এটির ছাড়পত্র স্থগিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে ছবিটির বিষয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করবে বলেই মনে হয়। আপাতত ছাড়পত্র স্থগিত করা হলো।’

হলি আর্টিজানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন ফারুকী- এমন ধারণা থেকেই কি স্থগিত করা হলো? জানতে চাইলে গুলজার বলেন, ‘ছবিটিতে সেই হামলার ইঙ্গিত তো আছেই। এ জন্যই হয়তো আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে আমি নিশ্চিত নই।’

তবে ধারণা করা যায়- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল বিতর্কিত হবার কারণেই ছবিটিকে ব্যান করা হয়েছে। যাতে নতুন করে কোন ইস্যু তৈরি না হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ছবিটির মহড়া শুরু হয়। আর শুটিং শুরু হয় ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি, ঢাকার কোক স্টুডিওতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ৯ ইতালীয়, ৭ জাপানি, ১ ভারতীয় ও ২ বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হন। রাতভর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরদিন (শনিবার) সকালে সেনাবাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে এর সমাপ্তি ঘটে। পরে সেখান থেকে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে রেস্তরাঁর প্রধান শেফ সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার হয়। আর সাইফুলের সহকারী জাকির হোসেন শাওন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

Follow us

get in touch. stay updated.

জনপ্রিয়