ইব্রাহিম খলীল চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, যে কোন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড নয়; নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার সঙ্গে নৈতিকতা না থাকলে, এই শিক্ষাই লুটপাট আর ধ্বংসের কারণ হয়।
আজ (১৭ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার, সকাল ১০ টায় ইসলাম ও সাধারণ শিক্ষার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষার বৃহত্তম বোর্ড “নূরানী তা’লীমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ” এর অধীনে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা-২০১৮ তে এ+ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, নৈতিকতা সম্পন্ন সুশিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, এ কথাটি এখন আর উচ্চারিত হয় না। শুধু শিক্ষা শিক্ষা করলে চলবে না। শুধু শিক্ষিত হলেও চলবে না। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা সম্পন্ন সুশিক্ষিত করতে হবে। তবেই তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা কখনো দুর্নীতিগ্রস্ত হবে না, অন্যের হক নষ্ট করবে না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি আছে যারা তাদের কর্মক্ষেত্রে বসে প্রতিনিয়ত মানুষকে হয়রানি করছে, প্রতারিত করছে, নৈতিক ও আর্দশিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ার কারণে দূর্নীতির মাধ্যমে দেশ ও জাতির অকল্পনীয় ক্ষতি সাধন করছে। মনে রাখতে হবে, দেশকে সুসন্তান, সুনাগরিক উপহার দিতে হতে হলে অবশ্যই সুশিক্ষিত হতে হবে।
আল্লামা শফী আরো বলনে, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে বিরাজমান অরাজকতা ও অনৈতিক কাজগুলো আমাকে ভীষণভাবে আহত করছে। আমি বারবার এসব দূরিকরণের লক্ষে কথা বলে যাচ্ছি দেশ ও জাতির স্বার্থে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাক্রমে দ্বীনি শিক্ষার প্রতি আরো গুরুত্ব দিতে হবে। প্রকৃত আলেম দ্বারা দ্বীনি ও নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। পত্রিকার পাতায় যখন আমার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন স্বীয় শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়, তখন আর আহত না হয়ে পারিনা।
তিনি বলেন, অভিভাবকগণ এক বুক প্রত্যাশা ও বিশ্বাস নিয়ে সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠায়। তাদের আশা, আমার সন্তান শিক্ষিত হবে, মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবে, সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। অথচ সেই সন্তানই নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক দ্বারা অথবা সহপাঠি দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। ফলে স্বপ্নগুলো চুরমার হয়ে যাচ্ছে তাদের। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক। এসব থেকে আগামীর ভবিষ্যৎকে পরিত্রাণ দিতে হলে পাঠদান পদ্ধতি সংস্কার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিন্নতা আনতে হবে।
পরিশেষে আল্লামা শাহ আহমদ শফী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে উত্তীর্ণ শিক্ষাথীদের পুরস্কার তুলে দেন।
২০১৮ সালের কেন্দ্রীয় সনদ পরীক্ষায় এই বোর্ড- এর অধীনে সারা দেশ হতে দুই লক্ষাধিক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গত ২৪ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পাশের হার ছিলো ৯০.২%